ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার এর প্রকাশনা উৎসব

ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার এর প্রকাশনা উৎসব

ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার এর প্রকাশনা উৎসব

এলড্রিক বিশ্বাস:
আজ ২৮ মে, ২০২২ খ্রীষ্টাব্দ সকাল ১০ টায় ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার এর উদ্যোগে ১৩ টি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেন্টার ফর এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড হিইম্যান ডেভলপমেন্ট (সেড) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্রাতজন রিসোর্স সেন্টার (বিআরসি) সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক ছিলেন ডক্টর হোসেন জিল্লুর রহমান, নির্বাহী সভাপতি, পিপিআরসি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশেষ অতিথি খুশী কবীর, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি এবং বাংলাদেশ সমন্বয়কারী, ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং, অধ্যাপক মোঃ গোলাম রহমান,  সম্পাদক, দৈনিক আজকের পত্রিকা এবং প্রাক্তন প্রধান তথ্য কমিশনার, জেরোমি অপ্রিটেসকো, ডেপুটি হেড অব মিশন, ডেলিগেশন অব দ্য উইরোপীয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ, ডক্টর লিলি নিকোলস, বাংলাদেশে কানাডীয় হাই কমিশনার।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তাদের জীবন যাপনে অবহেলার বিষয় তুলে ধরেন। এর পর ছিল বাত্যজনের ১৩ টি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সেড এর পরিচালক মিঃ ফিলিপ গাইন। পরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আহার পর্বের পরে ছিল গবেষণা -ভিত্তিক প্রকাশনা নিয়ে আলোচনা, আলোচনায় অংশ নেন তপন দত্ত, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার ও সুনীল বিশ্বাস,  প্রতীক থিয়েটার। সবশেষে ধন্যবাদ জানান ফিলিপ গাইন।

News Link: bdchristiannews.net

 

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারের যাত্রা শুরু

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারের যাত্রা শুরু

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারের যাত্রা শুরু

বাংলাদেশের প্রান্তিক ও বাদ-পড়া জনগোষ্ঠীসমূহের কল্যাণে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারের যাত্রা শুরু এবং ১১টি বই ও মনোগ্রাফ প্রকাশিত হয়েছে।

শনিবার ঢাকার তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে এই রিসোর্স সেন্টারের যাত্রা শুরু ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া, সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এই অনুষ্ঠানে বেদে সম্প্রদায় নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী প্রধান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষেরা কেবল ভিকটিম নয়, বরং সমূহ শক্তি ও সম্ভাবনার উৎস’।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষেরা কেবল বৈষম্যের শিকারই নয়, জাতীয় পরিসংখ্যানেও অনুপস্থিত। দক্ষতা ও সক্ষমতা বিনিময়ের মাধ্যমে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার বা বিআরসি এই মানুষদের দৃশ্যমান করে তুলতে সচেষ্ট থাকবে।’ তিনি এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য কারিতাস ও মিসোরিও এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উৎসবে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সেড পরিচালক ফিলিপ গাইন। তিনি বলেন, ‘সেডের গত তিন দশকের কাজের ফলাফল নিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার। উৎসবের অনেকগুলো উপলক্ষ্য রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, গবেষণার মাধ্যমে নীতি নির্ধারণে সামান্য হলেও ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারা।’

তিনি বেশ কিছু উদাহরণ দিয়ে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে নানা গোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যায় তথ্য বিভ্রাটের সমস্যা ব্যাখ্যা করে বলেন, তথ্য বিভ্রাট ও বিভ্রান্তি দূর করা ও বিভিন্ন পরিসংখ্যানের মধ্যে তথ্যের পার্থক্য কমিয়ে আনা হবে আমাদের অন্যতম কাজ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ । তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় ধনী দরিদ্র ভেদাভেদ ও বর্ণ বিভেদ অনেক কম। এ দেশে শ্রেণি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে উন্নয়নের ধ্যান ধারণা গ্রহণ করা সহজ হয়েছে। কিন্তু এই প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। এটি সরকারের একটি ব্যর্থতা।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডীয় হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেন, ‘আমি আপনাদের জীবনের সংগ্রাম ও অভিজ্ঞতা জানলাম। কানাডায় পুরো পৃথিবী থেকে অনেক মানুষ এসেছে। কিন্তু সেখানেও বৈষম্য বিদ্যমান। আমরা সকল প্রকার বৈচিত্র্য রক্ষা করতে ও বৈষম্য দূর করতে সব সময় কাজ করে যাওয়ার আশা রাখি।’

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন জেরেমি অপ্রিটেসকো, ডেপুটি হেড অব মিশন, ডেলিগেশন অব দা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার খুবই যথাযথ সময়ে এর যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। আমরা এর পাশে থাকতে পেরে গর্বিত।’

অধ্যাপক মো. গোলাম রহমান, সম্পাদক, দৈনিক আজকের পত্রিকা ও প্রাক্তন প্রধান তথ্য কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, ধর্ম, বর্ণ ও পেশার ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক।

ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং এর বাংলাদেশ সমন্বয়কারী এবং সেড সদস্য খুশী কবীর বলেন, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিজড়াদের যদি তৃতীয় লিঙ্গ বলা হয়, তাহলে প্রথম ও দ্বিতীয় লিঙ্গ কে?’ তিনি আশা করেন ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা নিয়ে আলোচনা ও সেমিনার আয়োজন করবে এই রিসোর্স সেন্টার।

বাংলাদেশ সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্কের প্রধান আলেয়া আক্তার লিলি যৌনকর্মীদের কাজের সম্মান ও তাদের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ অর্জনে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারকে পাশে পাওয়ার আশা করেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রামভজন কৈরী মজুরি-বৈষম্যের কথা বলেন।

এ ছাড়াও বেদে সর্দার সউদ খান, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার কর্মী জুয়ানলিয়াম আমলাই এবং সিকো খুমি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

আলোচনার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে চা শ্রমিক এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।

NEWS LINK: https://www.deshrupantor.com/capital/2022/05/28/362895

Ending deforestation by 2030: An empty promise?

Ending deforestation by 2030: An empty promise?

Philip Gain | News Link
Fri Apr 22, 2022 12:00 AM Last update on: Fri Apr 22, 2022 05:37 PM

Bangladesh is amazingly green. Yet, historically, our natural forests have always been limited. In 2000, the Bangladesh Bureau of Statistics estimated our total forest area to be 2.6 million hectares. However, according to the Forest Department’s “National Forest and Tree Resources Assessment 2005-07” report, the extent of legal forest land is 1.4 million hectares, which is 9.8 percent of the total land area in the country. The UN’s Food and Agriculture Organization (FAO) indicates a much worse condition of our forests: In 2009, the actual coverage of forest was merely 6.7 percent. The Forest Department identified 17.62 percent of the country’s land area as forest in 2016.

The Bangladesh side of the Sundarbans, the largest mangrove forest in the world, is spread over Khulna, Bagerhat and Satkhira districts, covering 601,700 hectares. The largest area of forestry in the country, the Sundarbans is constantly hit with disasters both natural and man-made. Foremost among the natural disasters are storms and tidal surges. The biggest of the man-made disasters, on the other hand, is extensive tiger prawn (Bagda) farming. According to conservative estimates, more than 200,000 hectares of mangroves have been cut down along the coast line in different places of the forest to facilitate prawn farming.

For all latest news, follow The Daily Star’s Google News channel.
The Chakaria mangrove forest in Cox’s Bazar has completely disappeared due to prawn farming. It is because of the demise of this unique mangrove patch that half of the people of Baddarkhali town on its northern edge lost their lives in the 1991 cyclone—one of the deadliest cyclones on record.

Our second biggest forest after the Sundarbans is located at the Chittagong Hill Tracts (CHT), covering 322,331 hectares. This hill forest used to be home to 11 indigenous groups. Then, to their great dismay, the British crown promulgated Act VII in 1865, and the forest-dwelling people in the CHT and elsewhere in the county were stripped of their customary rights to the forest and land. During British rule, 24 percent of the CHT was declared as reserved forest. Commercial afforestation began in the hills with cultivation of teak, an exotic species to Bangladesh. Later on, the Kaptai hydropower project, road construction, social forestry, Karnaphuli Paper Mills, militarisation, and the settlement of Bangalees contributed greatly to the drastic decline of CHT forest resources.

Monoculture plantations with exotic species, sugar-coated as social forestry, have severely damaged our natural forests. Rubber and tobacco cultivation in Cox’s Bazar and Bandarban over the past few decades has proven to be another key factor for deforestation. On top of that, there has been massive hill-cutting and deforestation for construction of the Marine Drive from Cox’s Bazar to Teknaf. Many hills have been shaved to make shelters for Rohingya refugees. Due to the deforestation, wild animals have disappeared from the area, and the movement of endangered elephants has been disrupted.

Very little of the sal forest in the north-central and north-western parts of Bangladesh survives today. The Modhupur sal forest used to be a continuous patch of 45,000 acres. Attached to that was another 17,000 acres of the same type of forest in Mymensingh’s Muktagachha upazila. Both Modhupur and Muktagachha forests are history today. What were once dense forests have been reduced to rubber monoculture and pineapple, banana and spice orchards. In places, there are social forestry patches primarily grown with acacia.

The major factors behind the massive deforestation and precise ecocide we have seen in Modhupur and elsewhere over the last three decades are wrong strategies and plantation projects funded by our development partners. The plantation projects funded by the World Bank to create a green fence along the coast have been severely affected by prawn cultivation, promoted and funded by donor countries. Recently, the World Bank’s USD 175 million project, Sustainable Forest and Livelihoods (SUFAL), has also failed to show any improvement. The huge project, set to be completed next year, has followed the same models of forestry that have proven to be ineffective.

Apart from the sal forests in Modhupur and Muktagachha, there are patches of sal forest at Fulbaria upazila in Mymensingh, Kaliakair in Gazipur, and in Tangail. These patches of nearly 60,000 acres, known as the Attia Forest, are now in the grips of land grabbers. Industrial establishments, roads, human habitation, bazaars, schools, madrasas and many other constructions have spread in and around this forest. The waste from nearby cities are indiscriminately dumped and burned in many places inside the forest. If you go east from Chandra circle in Kaliakair upazila, you will see burnt sal trees on both sides of the newly expanded highway.

The Forest Department is helpless in the Modhupur and Attia sal forest areas. Allegations are widespread that those involved in the deforestation and abuse of the forest areas are primarily political leaders, businessmen and elected public representatives. Rubber monoculture, a big threat to forest ecology, is primarily an activity of the Forest Department. Corruption of dishonest forest employees and officials and their collusion with the forest despoilers are equally widespread.

In recent decades, the so-called social forestry and other plantation projects funded by the Asian Development Bank (ADB) and the World Bank have dramatically changed the forest landscapes. Everywhere in the forest areas, we see huge plots of exotic acacia and few other species, devoid of understorey vegetation of diverse plant species—which is typical of natural forest patches. The practice of social forestry requires harvest of planted trees every 10 years or so, and thus creates perfect conditions for the land grabbers to step in.

A ray of hope was briefly shone at the 26th UN Climate Change Conference (COP26) in Glasgow, Scotland last year, when the world leaders, including our prime minister, pledged to stop deforestation by 2030. The world leaders’ declaration came on November 2. However, Bangladesh endorsed it on November 4—an indication that our leaders at COP26 were not well-prepared!

Considering the recent trends of deforestation and their underlying factors, it is indeed hard to believe that deforestation will ever come under control, let alone end by 2030. Yet, we want to be optimistic, but not without concrete actions, particularly from our government. First of all, the government must show that it is determined to formulate appropriate forestry policies and strategic programmes to protect our forests. Thanks to the ADB, it has completely withdrawn from the forestry sector after the colossal damage its investment caused to our natural forest patches. The World Bank also slowed down with the forest projects, but came back with SUFAL, a big forestry project. Evidence abounds how forestry projects funded by these multilateral development banks (MDBs) and donors can cause irreparable damage to our forests and environment. Our failure to be bold in taking right policy decisions will prove that the world leaders, including ours, made empty promises at COP26.

Philip Gain is a researcher and director at the Society for Environment and Human Development (SEHD).

মধুপুর বনে কেন কৃত্রিম হ্রদ?

মধুপুর বনে কেন কৃত্রিম হ্রদ?

ফিলিপ গাইন | Newspaper Link
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৫, ২০২২ ০৪:২৭ অপরাহ্ন | মধুপুর বনে কয়েকজন গারো নারী। ছবি: সংগৃহীত

মধুপুর শালবন এলাকায় বন বিভাগ একটি বাইদ খনন করে কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করতে চাচ্ছে। মধুপুর গড় এলাকার নিচু জমিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় বাইদ, যেখানে ধানসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ হয়। আর নিচু জমি থেকে ৩-৪ ফুট উঁচু জমি চালা হিসেবে পরিচিত। শালসহ অন্যান্য প্রজাতির বৃক্ষ দেখা যায় এখানে। এটিই লাল মাটির শালবনের স্বাভাবিক চিত্র। মধুপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় শাল ও অন্যান্য দেশি প্রজাতির বৃক্ষ বিলীন হয়েছে। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে বিদেশি প্রজাতির অ্যাকাশিয়া, আনারস, কলা ও মসলার আবাদ। আর এভাবেই মধুপুর শালবনের অধিকাংশ জায়গায় বাইদ-চালার সৌন্দর্য বিলুপ্ত হয়েছে।

দোখলা রেঞ্জ অফিস থেকে পশ্চিম-পূর্বে লম্বা এমনই একটি বাইদের পাশে বন বিভাগ একটি দোতলা গেস্ট হাউজ নির্মাণ করছে। একইসঙ্গে বাইদের ৪ একর জমিতে ছোট একটি কৃত্রিম হ্রদ (২০০ ফুট বাই ৮০০ ফুট) খনন করতে চাচ্ছে। এ গেস্ট হাউজে যারা আসবেন তাদের বিনোদনের জন্যই এ হ্রদ। বন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, এ হ্রদের পানিতে বন্যপ্রাণীরা তৃষ্ণা মেটাতে আসবে।

বাইদের যেখানটায় কৃত্রিম হ্রদ খননের পরিকল্পনা করছে বন বিভাগ, তার মালিক (সনাতনী অধিকারের ভিত্তিতে) কিছু গারো পরিবার। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ব্যবহৃত এ জমি তারা একেবারেই ছাড়তে নারাজ। গারোরা এ এলাকায় বসবাস করেন বন বিভাগ সৃষ্টির অনেক আগে থেকে এবং তারা একসময় জমিদারদের কাছ থেকে জমির বছর মেয়াদি লিজ (পাট্টা) এবং দীর্ঘমেয়াদি লিজ (পত্তনি) নিতেন। এই জমির কার্যত মালিক গারোদের দাবি, তারা অতীতে জমির খাজনা দিতেন। কিন্তু জমি বনভূমি হিসেবে গেজেটভুক্ত এবং এ এলাকাটি মধুপুর জাতীয় উদ্যানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকে খাজনা নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণেই এলাকার গারো, কোচ ও বাঙালিদের ৯০ শতাংশেরই জমির মালিকানা দলিল নেই। ফলে বন বিভাগের সঙ্গে তাদের বিবাদ লেগেই আছে। কারণ বন বিভাগ গেজেটভুক্ত সব জমির মালিকানা দাবি করে।

গত বছর সেপ্টেম্বরে এ বাইদের জমির মালিকদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা সবাই তখন তাদের কৃষি জমিতে ছোট এই কৃত্রিম হ্রদ খননের বিপক্ষে অবস্থানের কথা জানান।

‘এখানে সরকারের নেওয়া হ্রদ খননের পরিকল্পনাটি কোনোরূপ মহৎ উদ্দেশ্য প্রমাণ করে না’, বলেন দীপেন নকরেক (৬৫)। যিনি বাইদের ২ দশমিক ৪ একর জমির মালিকানার দাবিদার।

বেলি নকরেক (২৭), অপর এক গারো যিনি ৭১ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করেন, তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘আমি এখানে হ্রদ চাই না। সরকার যদি আমাদের সম্মতি ছাড়া এখানে হ্রদ খনন করতে চায়, তবে আমরা প্রতিবাদ করব।’

কয়েক মাস ধরে গারো ও বন বিভাগের মধ্যে হ্রদ খনন নিয়ে টানাপড়েন চলছে। হ্রদ নিয়ে গারোরা দ্বিধাবিভক্ত। কিছু মানুষ এর পক্ষে, কিন্তু অধিকাংশই এর বিপক্ষে অথবা দ্বিধাদ্বন্দ্বে।

এই বাইদের অল্প কিছু জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বন বিভাগ, রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসন গারোদের হাত করার চেষ্টায় আছেন। ‘তারা এ জমির জন্য কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন’, বলেন মধুপুরের প্রধান গারো সামাজিক সংগঠন ‘জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ’-এর সভাপতি ইউজিন নকরেক। ‘কিন্তু আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। যদি যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় এবং আমাদের অন্যান্য দাবি পূরণ করা হয়, তবে আমরা সম্মতি দিতে পারি’, বলেন তিনি।

‘১৯ মার্চ রাজনীতিবিদ, স্থানীয় প্রশাসন ও বনবিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে জেলা প্রশাসক ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন, যা খুবই সামান্য’, বলেন ওই বৈঠকে উপস্থিত নকরেক।

কেন কৃত্রিম হ্রদ?

মধুপুর বন সর্বাঙ্গে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। অরণ্যের সুবাতাস আর নেই। বনের অধিকাংশ জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে কলা, আনারস, পেঁপে, মসলা এবং লেবুর বাগান। বন বিনাশ এখানে কোনো নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমরা রাবার গাছের আবির্ভাব এবং পরবর্তীতে সামাজিক বনায়নের নামে বিদেশি প্রজাতির বৃক্ষরোপণ দেখি, যা মধুপুর ও অন্যান্য জায়গার ঐতিহ্যবাহী শালবনকে দ্রুত ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ছাড়াও, তথাকথিত সামাজিক বনায়ন দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রাকৃতিক বনভূমির ব্যাপক ক্ষতির পেছনে অন্যতম কারণ।

১৯৯০-এর দশক থেকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে বন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বন ‘সহ-ব্যবস্থাপনা’র সূচনা। এডিবির অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প বনের চিরায়ত পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়েছে, এমনটি প্রমাণিত হওয়ার পর বাংলাদেশসহ সমগ্র এশিয়াতে ২০০৫ সাল থেকে তাদের বন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তবে বন সহ-ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকে। বর্তমানে বন বিভাগ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প, ‘টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল)’ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্প নানা কারণে বিতর্কিত। যেমন: এ প্রকল্পে বন সহ-ব্যবস্থাপনার কাছাকাছি মডেল সহযোগী (কোলাবোরেটিভ) বন ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। সহ-ব্যবস্থাপনা (বনবিভাগ ও স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণে বন ব্যবস্থাপনা) আমাদের বন সুরক্ষায় কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। তবে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান (এডিবি ও বিশ্বব্যাংক) থেকে বন প্রকল্পের জন্য সহজ শর্তে প্রাপ্ত ঋণ প্রকল্পবাজদের জন্য বিপুল আর্থিক সুবিধা এনে দিয়েছে।

দোখলা রেঞ্জ অফিস চত্বরে যে গেস্ট হাউজ এবং হ্রদ— সঠিকভাবে বললে বলতে হয় পুকুর— যা সম্পূর্ণভাবে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ‘স্থানীয় ও নৃ-গোষ্ঠী জনগণের সহায়তায় মধুপুর ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পেরই অংশ। বন বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, গেস্ট হাউজ ও হ্রদ তৈরি জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জের ৩ হেক্টর জমির ওপর আরবোরেটামের (উদ্ভিদবিদ্যা অনুশীলনের উপযোগী উদ্যান) সঙ্গে যুক্ত।

মধুপুর বনের প্রায় অর্ধেক, যেখানে আনারস, কলা এবং মসলার বাগান গ্রাস করে নিয়েছে, সেখানে ছোট একটি উদ্ভিদ উদ্যান নির্মাণ বৃক্ষ রক্ষার ক্ষেত্রে কোনোরকম আশার আলো দেখায় না। মধুপুরের মানুষ দেখেছে তথাকথিত সামাজিক বনায়ন কীভাবে বন বিনাশের প্রধান কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সামাজিক বনায়ন যেখানে হয়েছে সেখানে খুব কম সময়ের মধ্যে আনারস, কলা, পেঁপে, ও মসলার আবাদ জায়গা করে নিয়েছে। সামাজিক বনায়নের থাবা থেকে চাড়ালজানি বন গবেষণা কেন্দ্রটিও রক্ষা পায়নি। ১৯৬৭ সালে ৪০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি কিছুদিন আগেও স্থানীয় এবং বিদেশি নানা প্রজাতির উদ্ভিদ দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। তবে বর্তমানে তা কমতে কমতে ২০ একরে এসে দাঁড়িয়েছে এবং এটিকে আর বন গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে চেনা যায় না।

চাড়ালজানি বন গবেষণা কেন্দ্রের পাশে ২০০৩ সালে স্থাপিত হয় একটি ঔষধি গাছের বাগান। এটিও অর্থপূর্ণ কোনো উদাহরণ নয়। সুফল প্রকল্পে বনতলের শত শত গাছ কেটে যেভাবে কিছু দেশি প্রজাতি ফলদ ও অন্যান্য বৃক্ষ চাষ করা হয়েছে, তাতে এলাকাবাসী অবাক হচ্ছে। মধুপুর শালবনে এসব দেখে এলাকাবাসী ত্যক্ত-বিরক্ত। তবে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী বহিরাগত কলা, আনারস ও মশলাচাষিরা বনভূমিতে এসব ফল, মশলা চাষ থেকে বিপুল মুনাফা করছেন।

এলাকাবাসী একটি ছোট আরবোরেটাম এবং তার সঙ্গে গেস্ট হাউজ ও কৃত্রিম হ্রদ তৈরির ধারণাকে হাস্যকর ও তামাশা মনে করছে। অনেকেরই প্রশ্ন প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি চমৎকার বাইদের জায়গায় কেন একটি কৃত্রিম হ্রদ খনন করতে হবে। গেস্ট হাউজে যারা আসবেন, তারা কি বর্তমানে যে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজমান তা দেখে খুশি হবেন না? তারা যদি পানি দেখতে চান তো গাড়িতে করে লহরিয়া বন বিটের কাছে ১৯৮০-র দশকে তৈরি হ্রদে চলে যেতে পরেন। লেকটি বর্তমানে পরিত্যক্ত। এর আশেপাশে যেসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছিল তা আগাছা আবৃত এবং খসে পড়ছে। গেস্ট হাউজের অতিথিরা দোখলা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত গাড়িতে যেতে পারেন, দেখতে পারেন এখন বেঁচে থাকা কিছু শাল-গজারির বন। তারা যদি ‘সবুজ মরুভূমি’ দেখতে চান তো ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক বনের জায়গায় তৈরি রাবার বাগান।

টিনশেডের কটেজগুলে নিয়ে খোলামেলা পরিবেশে দোখলা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস চত্বর বেশ সুন্দর ছিল। আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধানের একটা অংশ এখানে বসে লেখা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে কয়েক দিন অবকাশ যাপন করেছিলেন দোখলা রেস্ট হাউজে। এটি আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা, যা সবার জানা উচিত। তবে এখন এ চত্বরের প্রবেশমুখে বিরাট এক নিরাপত্তা ফটক বসানো হয়েছে। এক সময়কার চমৎকার নৈসর্গিক চিত্র পাল্টে গেছে। বাতাস যেন তার স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। দোতলা একটি গেস্ট হাউজ এবং একটি ছোট হ্রদ এখানকার নৈসর্গিক চিত্র মুছে দেবে। এতে এখানকার মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হবে। দোখলা রেঞ্জ অফিস চত্বর দিয়ে দোখলা বাজারে যেতে গারোরা যে মাটির রাস্তা ব্যবহার করে, সেটিও হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে। গেস্ট হাউজ ও হ্রদ বাইদ সংলগ্ন শতভাগ গারো গ্রাম চুনিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মধুপুরের গারোরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ সমর্থক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তারা অন্তরে ধারণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। তারপরও তাদেরকে ৪ একরের মতো বাইদের জমি ছেড়ে দিতে জোরাজুরি করতে হচ্ছে যেখানে তারা স্বেচ্ছায় কলা, আনারস, পেঁপে ও মশলার আবাদের জন্য তাদের উঁচু জমির অধিকাংশ মেদি (লিজ) দিয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত গারোরা কিছু ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে হয়তো বাইদের জমি ছাড়তেও পারেন। তবে তারা স্বেচ্ছায় হ্রদের জন্য জমি দেবেন না, এমনটাই তারা বলছেন নানাভাবে। গারোদের অনেক দাবির মধ্যে অন্যতম হলো- সনাতনী ভূমির অধিকার, যা রাষ্ট্র অস্বীকার করে। আমরা আশা করব সরকার সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং এর বিপর্যয়কর কুফল বিবেচনা করে মধুপুর এবং সেখানে বসবাসকারী শান্তিপ্রিয় গারোদের প্রতি সুবিচার করবে।

ফিলিপ গাইন: গবেষক ও সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড) পরিচালক

Philip.gain@gmail.com

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Why do we need an artificial lake in Modhupur forest?

Why do we need an artificial lake in Modhupur forest?

Philip Gain | News Link
Sat Apr 2, 2022 12:00 AM Last update on: Sat Apr 2, 2022 11:15 PM
Sal forest that has been turned into banana and pineapple orchards. Photo: Philip Gain

A beautiful baid may soon turn into a little artificial lake in Modhupur forest area. Baid is low land to grow rice and other crops in, between chala (high) land with sal stands. Baid and chala with reddish soil are special features of Modhupur Garh. In large parts of Modhupur forest, sal and hundreds of other native species have been replaced by the plantation of exotic acacia, pineapple, banana and spices. And thus, the beauty of baid and chala with sal stands has disappeared in most parts of Modhupur sal forest.

In one such baid, running west to east from Dokhola Range office, the Forest department is building a two-story guesthouse. It wants to dig a small lake (200 feet by 800 feet) on nearly four acres of this land to be used by the guests for recreational purposes. The wild animals will also come to quench their thirst at the lake, claims a top forest official.

For all latest news, follow The Daily Star’s Google News channel.
A few Garo families owning this baid (on the basis of customary rights) are unwilling to give up the land that they have been using for generations. The Garos, indeed, have been living in this area since before the creation of the Forest Department and they used to get patta (yearly lease) and pattan (long-term lease) from the Zamindars for it. The de facto owners of the baid claim they paid taxes for this land in the past. However, since the land was gazetted as forest land and the area declared part of the Modhupur National Park, they could not pay land taxes anymore. The Garos and other locals, around 90 percent without title deeds for the land they live on and use, are thus entangled in conflict with the Forest Department, who now claim jurisdiction over all gazetted land.

In September last year, I met some of the owners of the baid and they all stood strongly against the plan to dig a small artificial lake on the agricultural land they use. “The government’s plan to dig a lake here does not indicate any good intentions,” said Dipen Nokrek (65) who claims owning 2.4 acres of land in the baid. Belly Nokrek (27), another Garo who claims owning 71 decimals of land said with confidence, “I do not want a lake here. If the government wants to dig a lake here without our consent, we will stage protests.”

For months, a tug-of-war has been going on between the Garos and the Forest Department. The Garos are divided on the lake issue. Some are for it, but most are against it or are sceptical.

The FD, politicians and administrations are trying to convince the Garos to give up a bit of this baid for the lake. “They have promised some compensation for the land,” says Eugin Nokrek, president of Joyenshahi Adivasi Unnayan Parisad, the premier Garo social organisation in Modhupur. “But we have not yet decided. If proper compensation is given and our other demands are met, we may give consent.”

“In a meeting on March 19, attended by politicians and higher-ups in the local administrations and the forest department, the DC has offered a compensation of Taka five lacs, which is too small an amount,” reports Nokrek, who attended the meeting. “We will discuss among ourselves and get back to them.”

Why a tiny, artificial lake?

Modhupur is thoroughly despoiled. The sylvan aroma is gone. In most parts, there are orchards of banana, pineapple, papaya, spices and lemon. Deforestation is not a new phenomenon. But what we have seen since the mid-1980s, with the advent of rubber plantation and then plantation of exotic species under the guise of social forestry, is rapid destruction of traditional sal forest patches in Modhupur and elsewhere. The so-called social forestry has also caused massive loss of natural forest patches in the south-eastern districts of the country.

It is under the forestry projects funded by the Asian Development Bank (ADB) that so-called co-management of forests was introduced in Modhupur from the 1990s. While the ADB-funded forestry projects have been proven to have caused colossal damage resulting in it suspending all its operations in the forestry sector since 2005, social forestry practices continue. Currently, the Forest Department is implementing a World Bank-funded project worth USD 175 million called Sustainable Forests & Livelihoods (SUFAL). The World Bank-funded project is controversial in that it promotes collaborative forest management, a model close to co-management that has not brought the desired good to our forests. However, the forestry projects with concessional loans from the international financial institutions bring huge financial benefits to the project-mongers.

The guest house at Dokhola and the lake—or the pond, to be more accurate—are reported to be part of a purely government-funded project, titled, “Modhupur eco-tourism development and sustainable management with help of local people and tribals.” The FD officials confirmed that the guest house and lake are part of an arboretum plantation on three hectares of land in the Sadar Beat of National Park Sadar Range.

While around half of Modhupur sal forest has been consumed by pineapple, banana and spices orchards, setting up a tiny kind of botanical garden brings no hope for the protection of trees. The people of Modhupur have witnessed how the so-called social forestry projects have caused ecocide. Social forestry eventually led to pineapple, banana, papaya, spice plantations and has not even spared the Charaljani Forest Research Centre. Not long ago, the 400-acre research centre had very good coverage of local and foreign species of trees. The research centre, established in 1967, has now been reduced to hardly 20 acres and it is difficult to determine if it is a forest research centre at all anymore.

The state of a medicinal garden (established in 2003) neighbouring Charaljani Forest Research Centre does not demonstrate meaningful practice, either. The plantation under SUFAL has also surprised the local people when the understory vegetation of the sal forest patches had been cleared and saplings of some local fruits and other species were planted. Common people are fed-up of all these while the traders and politically influential people have been making huge profits out of fruit and spice plantations on forest land.

They see the concept of an arboretum with a guest house and a tiny lake as a joke. Many question why a beautiful baid with a natural environment has to become a lake. Can’t those staying in the guest house be satisfied with the existing natural environment around? If they want to see water, they can go to Gorgora lake near Lohoria Beat, which was dug in the 1980s. It is now abandoned and some infrastructure built around it has also eroded. Guests can also take a motorbike ride from Dokhola to Rasulpur and see the remaining sal forest patches. They can also trek through rubber plantations to see the “green desert”!

The Dokhola Forest Range Office premises looked so much better with a few tin-shed cottages. Part of our constitution was written here in 1972. Our Father of the Nation spent a few days at the Dokhola Rest House in January 1971 as well. This is a glorious piece of history that everyone should know. But nowadays, a huge security gate has been constructed at the entrance of the premises. The beautiful landscape looks clumsy now. The air does not flow normally. A two-storey guest house with a couple of rooms and an artificial lake will further congest the environment and restrict general people’s entrance to the area. A mud road that the Garos take through Dokhola Range office to Dokhola Bazar will probably be blocked. The people of Chunia, a pure Garo village, will be adversely affected.

The Garos of Modhupur in general are strong supporters of Bangladesh Awami League. They revere the Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, from their hearts. Their participation in the War of Liberation in 1971 was noteworthy. Yet, they are being made to surrender around four acres of baid land when they have leased a large percentage of their chala land for commercial plantation of banana, pineapple, papaya and spices.

The Garos may surrender the land for the lake in the end, in exchange for some compensation, but it will not be done voluntarily. The Garos have many demands, foremost of them is recognition of their customary land rights, which the state denies. We can only hope the government will do justice to Modhupur and the peace-loving Garos in consideration of bitter experiences with forestry projects and the colossal damage, including ecocide, that these have caused.

Philip Gain is a researcher and director at the Society for Environment and Human Development (SEHD). He has researched and written extensively on Modhupur forests and its people for three and a half decades. Email: philip.gain@gmail.com