বাংলাদেশে চা শ্রমিকের অধিকাংশই বাঙালি নন, নিম্নবর্ণের হিন্দু, বিহারি মুসলমান ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। সাসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) প্রায় দুই দশক ধরে চা শ্রমিক এবং চা শিল্প নিয়ে নিবিড় গবেষণা করছে। চা শ্রমিকদের নিয়ে সেড-এর সর্বশেষ দুটি গ্রন্থ ফিলিপ গাইন সম্পাদিত চা শ্রমিকের কথা এবং — তার লেখা চা শ্রমিকের মজুরি: মালিকের লাভ, শ্রমিকের লোকসান-এর মোড়ক উন্মোচিত হয় ১১ নভেম্বর ২০২৩ ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে। এই প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা সভার আয়োজন করে সেড, বধাত ̈জন রিসোর্স সেন্টার (বিআরসি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)।
চা শ্রমিকের কথা গ্রন্থটি মূলত চা শ্রমিকদের সার্বিক অবস্থা এবং বাংলাদেশের চা শিল্প নিয়ে। অন ̈টি এর সাথী গ্রন্থ’, চা শ্রমিকের মজুরি: মালিকের লাভ, শ্রমিকের লোকসান, যাতে সন্নিবেশিত হয়েছে চা শ্রমিকের মজুরি এবং ন্যায্য ̈ মজুরির দাবিতে আগস্ট ২০২২-এ চা শ্রমিকদের ১৯ দিনের নজিরবিহীন ধর্মঘট নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট এবং নানা তথ ̈-উপাত্ত ও বিশ্লেষণ।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন (বিসিএসইউ)-এর কিছু নেতাসহ একদল চা শ্রমিক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা আসেন এবং তাদের নানা কষ্টের কথা অনুষ্ঠানে বর্ণনা করেন। অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের একটি প্যানেল চা শ্রমিকদের পক্ষে জোরালোভাবে ব৩ব ̈ রাখেন। তারা গ্রন্থ দু’টির সারমর্মের সাথে একমত পোষণ করেন এবং তাদের নিজ ̄^ মতামত যোগ করেন।
গ্রন্থের লেখক, সম্পাদক ও সেড-এর পরিচালক ফিলিপ গাইন তার ব৩বে ̈ বলেন, “চা শ্রমিকের কথা বইটির দ্বিতীয় সং ̄‹রণ ২০২২ সালে বের করার পরপরই চা শিল্পের ইতিহাসের এক নজিরবিহীন ধর্মঘট ঘটে চা বাগানে। এর ফলে শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা হয় প্রধানমন্ত্রীর হ ̄Íক্ষেপে। এ মজুরি যথেষ্ট না হলেও চা শ্রমিকরা তা মেনে নিয়ে কাজে যোগ দেন। এই নজিরবিহীন ধর্মঘটের আগে-পরে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে যেসব ঘটনা ঘটতে থাকে সেসবের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ নিয়ে চা শ্রমিকের মজুরি: মালিকের লাভ, শ্রমিকের লোকসান বইটি।”
New LinK: PDF