Mandi (English)

28-minute documentary film on Modhupur Sal forest and the Garos (Bangla and English)  Direction and photography: Ashfaque MunirResearch: Philip Gain, Shishir Moral and Benedect MangsangEditing: Kazi Belal UddinProduction and copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD), 1994

A 28-minute documentary film on the struggle of the matrilineal Garos and the destruction of a unique sal forest in Mymensingh and Tangail districts of Bangladesh. Of approximately 100,000 Garos in Bangladesh, around 15,000 live in the Modhupur sal forest villages (as of 1994). Not many years ago, huge sal, other timber trees and medicinal plants covered the third-largest forest of Bangladesh, the Modhupur forest. By the time the documentary was made (1994) vast areas lied denuded or sparsely covered by trees and undergrowth. The government’s commercial plantation programs in the name of ‘community’ or ‘social forestry’ have generated some patches of exotic species, causing further harm to the natural forests.

To follow on what happened to Modhupur sal forest since the making of MANDI, watch Stolen Forest (first part on sal forest) and Sylvan Tears (on Modhupur) made in 2019.

YouTube link Mandi: https://www.youtube.com/watch?v=cCNhVqCs1GU

 

মান্দি (বাংলা)

মধুপুর শালবন ও এ বনের আদি বাসিন্দা গারোদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র (২৮ মিনিট, বাংলা ও ইংরেজি)

পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক: আসফাক মুনীর
সম্পাদনা: কাজী বেলাল উদ্দীন
চিত্রনাট্য: কুররাতুল-আইন-তাহমিনা, আলী রিয়াজ ও ফিলিপ গাইন
গবেষক: ফিলিপ গাইন, শিশির মোড়ল ও বেনেডিক্ট মাংসাং
প্রযোজনা ও স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ১৯৯৪

এ প্রামাণ্যচিত্রে মধুপুর গড়ে নজীরবিহীন বনবিনাশ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রকল্প-সাহায্যে বিদেশী প্রজাতির গাছ দিয়ে বাণিজ্যিক বনায়ন, বনের মানুষের টিকে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা ইত্যাদি চিত্রায়িত হয়েছে।

মধুপুর গড় ঐতিহ্যবাহী শালবনের প্রতীক। শালবনের অবশিষ্টাংশ এখনো দেখা যায় টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর এবং বৃহত্তর ঢাকা জেলায়। ঢাকা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে মধুপুর শালবন ঝরাপাতার বন বলে পরিচিত। এক সময় বিরল প্রজাতির প্রাণী এবং জীব-বৈচিত্র্যের জন্য এই বন ছিল অনন্য। বর্তমানে (১৯৯৪) সেই বনের অবস্থা একেবারেই মলিন। বিরল প্রজাতির জীবজগৎ ও জীব-বৈচিত্র্যের সামান্যই অবশিষ্ট আছে।

ভারত এবং বাংলাদেশে বসবাসরত তিব্বতি-বর্মণ ভাষাভাষী গারোদের সংখ্যা আট লাখের মতো। বাংলাদেশে এদের সংখ্যা লাখ খানেক। এর মধ্যে হাজারের মতো বাস করে মধুপুর বনে (এ পরিসংখ্যান ১৯৯৪ সালের)। এক সময় মধুপুর গড় ছিল কেবল গারোদের আবাসস্থল। বর্তমানে বাঙালিদের সংখ্যা গারোদের কয়েকগুণ।

`মান্দি’ ছবিতে যারা কথা বলেছেন তারা ‘বনের সন্তান’। সমৃদ্ধ ও অনন্য শালবন ধ্বংস করে কেন বাণিজ্যিক বনায়ন করা হচ্ছে তা তাদের কাছে বোধগম্য নয়। এই বনায়নের ফলে শুধুমাত্র আদিবাসীদের অস্তিত্বই হুমকির মুখোমুখি হয়নি বরং বনায়ন করতে গিয়ে বন বিভাগ বন সম্পদে আদিবাসীদের সনাতন অধিকারকে অস্বীকার করেছে। তাদের ক্ষেদোক্তি “আমরা জানি না, কেন আমাদের বিদেশী গাছ দরকার।” একজন স্থানীয়কে বলতে শোনা যায়, “প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন বন সৃষ্টি করার কোনো মানে হয় না।”

অনেক বছর ধরে মধুপুর বন ও তার আশপাশ এলাকায় অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণের ফল ‘মান্দি’ প্রামাণ্যচিত্র। যারা প্রকল্প প্রণয়ন করেন তারা স্থানীয় আদিবাসীদের মতামত বা জ্ঞান কোনো কিছুকেই মূল্য দেন না, এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে প্রামাণ্যচিত্রটিতে। বাংলাদেশে এখনো যে বনসম্পদ রয়েছে তা যদি রক্ষা করতে হয় অথবা যদি নতুন বনসম্পদ গড়ে তুলতে হয় তবে বন, বন্যপ্রাণী, বনসম্পদ ইত্যাদি ব্যাপারে স্থানীয় মানুষের পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে।

‘মান্দি’ প্রামাণ্যচিত্রটি ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই দেখা যাচ্ছে। মান্দি প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণের পর সেড আরো দুটি প্রামাণ্যচিত্র (স্টোলেন ফরেস্ট ও অরণ্যে আর্তনাদ) নির্মাণ করেছে সেখানে ‘মান্দি’-পরবর্তী বনবিনাশের আরো ভয়াবহ অবস্থা চিত্রায়িত হয়েছে।

YouTube link Mandi: https://www.youtube.com/watch?v=cCNhVqCs1GU