Stolen Forest

Stolen Forest

Biponno Bon (Stolen Forests)

Documentary film on destruction of forest (English 76 minutes and Bangla 45 Minutes)

Direction: Philip Gain and Junaid Halim
Screenplay: Philip Gain
Editing: Junaid Halim
Copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD), 2005

A 76-minute documentary film on phenomenal destruction of forests of Bangladesh (except for the Sundarbans in the Southwestern districts). The first part of the film is on Modhupur sal forest and a few other sal patches in the north-center of Bangladesh that have witnessed severe destruction of forest primarily due to monouclture plantations of exotic species. The second part of the film is on the destruction of foerst in the Chittagong Hill Tracts (CHT). Most of the hills are bare today. Plantations of teak rubber and tobacco are some of the key factors for such destruciton. Be it in the sal forest or in the CHT what is obvious is that monoculture plantations of exotic and invasive species in place of hundreds of species of the native forests are not forests at all. One key message of the film is straight: man can plant forest but cannot create it.

চা শ্রমিকের কথা

বন বিনাশের উপর প্রামাণ্যচিত্র (ইংরেজি ৭৬ মিনিট এবং বাংলা ৪৫ মিনিট)

পরিচালনা: ফিলিপ গাইন ও জুনাইদ হালিম
বিষয়, গবেষণা ও চিত্রনাট্য: ফিলিপ গাইন
সম্পাদনা: জুনাইদ হালিম
প্রযোজনা ও স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ২০০৫।

বিপন্ন বন’ সুন্দরবন বাদে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলেদর জেলাগুলোতে নজিরবিহীন বনবিনাশ নিয়ে প্রমাণ্যচিত্র। প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম অংশটিতে মধুপুর শাল বন এবং বাংলাদেশের উত্তর-মধ্যভাগের অন্যান্য কিছু শাল বন দেখানো হয়েছে যা মূলত বিদেশি প্রজাতির গাছের একক বনায়নের কারণে মারাত্মক বনবিনাশের সাক্ষী। প্রামাণ্যচিত্রটির দ্বিতীয় অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের বনবিনাশ নিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশিরভাগ পাহাড়গুলোই আজ বৃক্ষশূন্য। সেগুন, রাবার এবং তামাক চাষ সেখানকার বনবিনাশের অন্যতম প্রধান কারণ। একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, শাল বন হোক অথবা পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল হোক, আমাদের দেশের শত শত প্রজাতির প্রাকৃতিক বনে বিদেশি এবং আগ্রাসী প্রজাতির কৃত্রিম একক বনায়ন আসলে প্রকৃত বন নয়। প্রামাণ্যচিত্রের সুস্পষ্ট বার্তা: মানুষ গাছ লাগাতে পারে কিন্তু বন সৃষ্টি করতে পারে না।

Cha Sramiker Katha

Cha Sramiker Katha

Cha Sramiker Katha (The Story of Tea Workers)

44-minutes documentary film on women tea workers (Bangla and English)

Direction: Ronald Halder and Philip Gain
Editing and photography: Ronald Halder
Screenplay: Philip Gain
Copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD), 2009.

The Story of Tea Workers, a 44-minute documentary film, shows the life, grim work conditions and struggle of decendents of the indentured tea plantation workers. One of the most marginalized and excluded communities of Bangladesh, the tea plantation workers have remained captive in the tea estates since they arrived here beginning 160 years ago. The film brings forth strong images, information and insights.

YouTube link: Cha Sramiker Katha

চা শ্রমিকের কথা

চা শ্রমিকদের নিয়ে ৪৫ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র (বাংলা ও ইংরেজি)

পরিচালনা: রোনাল্ড হালদার ও ফিলিপ গাইন
চিত্রনাট্য: ফিলিপ গাইন
চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা: রোনাল্ড হালদার
স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ২০০৯

“চা শ্রমিকের কথা” বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের জীবনের চালচিত্র নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র। বাংলাদেশের চা শ্রমিকরা শুধু দরিদ্রই নয়, দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা চরমভাবে বঞ্চিত এক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। দেড়শো বছরেরও আগে থেকে ব্রিটিশরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে এদের নিয়ে এসেছিল বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের চা বাগানগুলোতে কাজ করার জন্য। কিন্তু বাস্তবে তারা পেয়েছেন চা বাগানের লেবার লাইনের বন্দি জীবন, নির্যাতন ও নিগ্রহ। আজও তারা অত্যন্ত কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের বাসস্থান এবং কাজের পরিবেশও শোভন নয়। চা শ্রমিকের জীবনের নানা বঞ্চনা, দাসত্ব, দৈনন্দিন দু:খ-কষ্ট এবং চা শিল্প কীভাবে চলে এসব নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র, “চা শ্রমিকের কথা।”
YouTube link: চা শ্রমিকের কথা

Elegy on Land

Elegy on Land

Matir Maya (Elegy on land)

30-minute documentary film on soil and blood in Northwestern districts of Bangladesh (Bangla and English)

Screenplay and Direction: Philip Gain
Editing: Imtiaz Sagar
Production and copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD), 2016.

When politics, religion and poverty come together in the struggle for land, the results can be catastrophic. Such is the nature of the stories described in Elegy on Land or Matir Maya, a 30-minute documentary film produced by Society for Environment and Human Development. The film gives a vivid description of the struggles of different ethnic communities of the Northwestern districts of Bangladesh to retain the ownership to their lands.

The film takes us through the plains of Rajshahi to Dinajpur to Gaibandha and tells the stories of five cases of land dispossession and the subsequent quest for justice. Fear of murder, pillage and destruction are ever-present throughout this documentary. Its ultimate message is simple: urgent action must be taken to protect the land rights of Bangladesh’s impoverished, deprived and excluded ethnic communities.

The documentary starts off with the story of Sicilia Hasda of Pachondor village in Rajshahi, a Mahle woman whose family lost everything when their house was demolished with the help of the local police following an eviction decree based on false claims of ownership by Bangalees from a neighboring village. Her emotional recounting of her tale poignantly illustrates the current situation and what is at stake for many in Bangladesh’s ethnic communities.

In Nawabganj, Dinajpur, we are introduced to Robi Soren, a Santal from Kachua village, whose father and grandfather were both killed by land grabbers and saw no justice for their crimes. His story illustrates the cycle of violence, poverty and fear that affects generation after generation of ethnic minority communities amid the lawlessness that is endemic of Bangladesh’s convoluted land tenure system.

In Chapainawabganj, Bichitra Tirki, an Oraon woman recounts her struggle to regain control of her husband’s rightful property after his death and the terror and constant attacks she had to endure as a result.

In Chirakuta village of Dinajpur, clashes between the Santals and Bangalees over control of land have led to bloodshed and heartbreak for both communities. In the documentary, we are introduced to individuals from both sides of the clash as they recount what they have lost and the pain that they have had to endure as a result of the conflicts. Their stories poignantly illustrate the true human cost of Bangladesh’s hunger and obsession for land.

In Gobindaganj upazila of Gaibandha, we are introduced to a local adivasi land rights movement called, Shahebganj Bagda Farm Bhumi Uddhar Shongram Committee (Shahebganj Bagda Farm Land Reclamation Struggle Committee) and the activists that are fighting to regain control of the land they lost when the Pakistan government acquired it to establish the now-defunct Rangpur Sugar Mill in 1955.

These stories cover a wide range of ethnic groups and geographies but the underlying themes remain the same. A lack of legal protection coupled with the passivity of the state makes minority groups vulnerable to violence and predatory land grabbers and creates a cycle of landlessness and poverty, which has socioeconomically crippled many of these communities.

The documentary takes us through an emotional journey. The ending, much like the subject matter, remains open and unresolved. The ultimate fate of the characters we have met in the documentary remains unknown. In these stories, there are likely no happy endings.

YouTube link: Elegy on Land

চা শ্রমিকের জীবন ও সংস্কৃতি

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আদিবাসীদের ভ‚মি নিয়ে রক্তক্ষয়ী বিরোধ ও সংঘর্ষের উপর নির্মিত ৩০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র (বাংলা ও ইংরেজি)

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: ফিলিপ গাইন
সম্পাদনা: ইমতিয়াজ সাগর
স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ২০১৬

ভূমি নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সাথে যখন রাজনীতি, ধর্ম এবং দারিদ্র্য যুক্ত হয় তখন তার ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ। সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) প্রযোজিত ৩০ মিনিটের তথ্যচিত্র `মাটির মায়া’ এমনি এক কাহিনীচিত্র। এর মধ্যে আমরা দেখি উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের ভূমি রক্ষার আপ্রাণ প্রচেষ্টা। তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ফিলিপ গাইন।

তথ্যচিত্রটি রাজশাহী, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি ভ‚মি হারাবার কাহিনী এবং সেই সাথে ন্যায়বিচারের আকুতি আমাদের সামনে মেলে ধরেছে। প্রতিটি ঘটনায় উঠে এসেছে খুন হবার ভয়, লুন্ঠণ এবং ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা। বার্তা মূলত একটিই-এই বঞ্চিত ও বিচ্ছিন্ন জাতিগোষ্ঠীগুলোর ভূমি অধিকার রক্ষায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।

তথ্যচিত্রটি শুরু হয় রাজশাহী জেলার পাচন্দর গ্রামের মাহলে নারী সিসিলিয়া হাঁসদাকে দিয়ে। স্থানীয় পুলিশবাহিনীর সহায়তায় আদালতের উচ্ছেদ ডিক্রি হাতে ভূমিদস্যুরা মাহলেদের ঘরগুলো ভেঙে মাটির সাথে গুড়িয়ে দিয়েছে। সিসিলিয়া হাঁসদার মর্মস্পর্শী বর্ণনা উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর বিপন্নতার চিত্র তুলে ধরে।

পরবর্তী ঘটনায় আমরা দেখতে পাই দিনাজপুরের কচুয়া গ্রামের সান্তাল যুবক রবি সরেনকে, যার পিতা ও পিতামহ ভূমিদস্যুদের হাতে প্রাণ হারালেও সুবিচার পায়নি তার পরিবার। বাংলাদেশের ভ‚মিব্যবস্থা যেমন জটিল তেমন আইনের অপপ্রয়োগ আদিবাসীদের ভূমি বিরোধকে করে তোলে আরো জটিল। রবি সরেন ও তার পরিবারের কাহিনী সহিংসতা, দারিদ্র্য এবং ভীতির এমন এক দুষ্টুচক্রের প্রতিফলন যা বংশপরম্পরায় আদিবাসীদের হতবিহবল করে তোলে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওরাওঁ নারী বিচিত্রা তিরকি মৃত স্বামীর বেহাত হওয়া ভ‚মি পুনরুদ্ধারে ক্রমাগত যে আতংক এবং নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যান তারই বর্ণনা তুলে ধরা হয় পরবর্তী ঘটনায়।

দিনাজপুরের চিরাকুটা গ্রামে সান্তাল ও বাঙালিদের মধ্যকার ভূমি বিরোধ দুই পক্ষেরই রক্তক্ষয় এবং গভীর বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তথ্যচিত্রে আমরা উভয়পক্ষের বক্তব্যই পাই যেখানে তারা তাদের অভিযোগ ও বেদনার কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে মানুষের ভূমির প্রতি যে গভীর মায়া আর তার বিনিময়ে জীবন দিয়ে যে মূল্য পরিশোধ করতে হয়, তথ্যচিত্রের ঘটনাগুলোতে তারই প্রতিফলন দেখা যায়।

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় আদিবাসীদের দেখা যায় “সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি” -র ব্যানারে আন্দোলনে নেমেছে। যে ভূমির জন্য আজ তারা আন্দোলনে নেমেছে ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সরকার রংপুর চিনিকল (বর্তমানে বন্ধ) নির্মাণের জন্য সে ভূমি অধিগ্রহণ করে।

তথ্যচিত্রটি বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর চিত্র দিলেও মূলভাব একটাই। আইনি নিরাপত্তার অভাব এবং সেই সাথে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা ক্ষুদ্র এসব জাতিগোষ্ঠীকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয় এবং দারিদ্র্য ও ভূমিহীনতার চক্রে বেঁধে ফেলে। এতে এই জাতিসত্তাগুলো আর্থ-সামাজিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ে।

`মাটির মায়া’ একটি মর্মস্পর্শী তথ্যচিত্র। এর পরিসমাপ্তিটি বিষয়ব্যস্থার মতোই অমীমাংসীত থেকে গেছে। চরিত্রগুলোর সর্বশেষ পরিণতিও অজানা। এই কাহিনীগুলোর যেন কোনো শুভ সমাপ্তি নেই।

YouTube link: মাটির মায়া

PHULBARI

PHULBARI

Phulbari (English)

40-minute documentary film on grassroots revolt against open-pit mining (Bangla and English)

Direction: Ronald Halder and Philip Gain
Editing: Ronald Halder
Screenplay: Philip Gain
Production and copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD), 2007

PHULBARI is a 40-minute documentary film on an unprecedent grassroots revolt against open-pit mining in Phulbari in Dinajpur district. The people in the mine area took to the streets of Phulbari town in thousands in the resistance against open-pit mining on 26 August 2006. The law enforcing agencies opened fire on the peaceful rally at some point. At least three were shot dead and more than two hundred were wounded. It was a victory of people’s resistance.

The documentary starts with what happened on 26 August 2006. And then shows the background of the protest, discontent of the villagers who would lose their villages and cropland and opinions of experts. The documentary also shows scenes of open-pit mining in other countries. All summed up, the open-pit mining by Asia Energy, a British Company, would cause serious economic loss for the people in the mine area in particular and environmental disaster. The most significant message of the film is, the people of coal-rich Phulbari, Parbatipur, Birampur and Nawabganj Upazilas in Dinajpur district are dead against the open-pit mining in an area that is prime land for production of rice and other crops.

After the shooting and killing of 26 August the revolt continued up to 30 August, the day the government dramatically accepted all six demands of the anti-mine protesters by signing a memorandum of understanding with the leaders of the movement. The key demands that the government submitted to, obliged it to expel Asia Energy from the country and not to introduce open-cut mining in Phulbari or any other part of Bangladesh. The Memorandum of Understanding brings a solution to the Phulbari crisis for the time being.

YouTube Link of the documentary: PHULBARI

ফুলবাড়ী

উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের উপর ৪০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র

পরিচালনা: রোনাল্ড হালদার ও ফিলিপ গাইন
সম্পাদনা: রোনাল্ড হালদার
চিত্রনাট্য: ফিলিপ গাইন
প্রযোজনা ও স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ২০০৭।

‘ফুলবাড়ী’ দিনাজপুর জেলায় উন্মুক্ত কয়লা খনির বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীতে তৃণমূলের নজীরবিহীন প্রতিরোধ আন্দোলনের উপর ৪০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র। খনি এলাকার হাজার হাজার মানুষ ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট উন্মুক্ত কয়লা খনির বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী শহরের রাস্তায় নামে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক পর্যায়ে শান্তিপূর্ণৃ সমাবেশে গুলি চালায়। অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ এবং দুই শতাধিক আহত হয়। এটা ছিল জনগনের বিজয়।

প্রামাণ্যচিত্রটি ২৬ আগস্ট ২০০৬-এ ফুলবাড়ীতে যা ঘটেছিল তা দিয়ে শুরু। এরপর প্রামাণ্যচিত্রটিতে ফুলবাড়ীবাসীদের প্রতিবাদের পটভূমি, উন্মুক্ত কয়লা খনি হলে যেসব মানুষ তাদের গ্রাম এবং ফসলি জমি হারাবে তাদের অসন্তোষ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরা হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রটিতে অন্যান্য দেশের উন্মুক্ত কয়লা খনির দৃশ্যও দেখানো হয়েছে।

সবদিক বিবেচনা করে যা বলা যায় তা হলো, ব্রিটিশ কোম্পানি এশিয়া এনার্জি উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা খনি করলে স্থানীয় জনগণ ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। প্রামাণ্যচিত্রের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বার্তা হলো, দিনাজপুর জেলার কয়লাসমৃদ্ধ ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা, যেখানে মানুষ ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপন্ন করে, সেখানে তারা উন্মুক্ত কয়লা খনির চরম বিরোধী।

২৬ আগস্ট প্রতিরোধ আন্দোলনে গুলি চলার পর বিদ্রোহ ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর সরকার প্রতিরোধ আন্দোলনরকারীদের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনির বিরোধীদের ছয়টি দাবি নাটকীয়ভাবে মেনে নেয়। সরকারের কাছে পেশ করা মূল দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং ফুলবাড়ীসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত কয়লা খনি করা যাবে না। সমঝোতা স্মারক ফুলবাড়ী সঙ্কটের আপাত সমাধান দেয়।

প্রামাণ্যচিত্রটির ইউটিউব লিংক: ফুলবাড়ী

Cha Sramiker Jibon O Sangskriti

Cha Sramiker Jibon O Sangskriti

Cha Sramiker Jibon O Sangskriti (Life and Culture of Tea Workers)

A 13-minutes documentary film on Life and Culture of tea workers (Bangla and English)
Screenplay and Direction: Philip Gain
Editing: Tulsi Saha
Copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD)

Most of half a million tea workers and their communities are non-Bangalee and lower caste Hindu. Labour lines inside the tea gardens are their permanent homes without legal ownership. Their ethnic identities and the languages they speak and their cultures are amazingly diverse.

The documentary shows the life of the tea workers and their diverse cultural heritage. One of the cultural traditions of the Telugu-speaking Mandraji, Almik, Rajbhar, Tanti, Goala, Naidu, Kurmi, Teli and Reli ethnic communities is Lathi Nritto (stick dance), and Dal Nritto (branch dance). Lathi Nritto is also popular among many other ethnic communities. Lathi Nritto is integral part of any cultural event in the tea gardens.

The dance is known as Gentu Bajini to the people of Telugu ethnic community. In Telegu Gentu means jumping and Bajini means singing. We see that in the dance. Shobdokor community is has colourful cultural life with their unique musical instruments. They perform Dhamail dance and Shib Gauri dance to the rhythm of music in social and religious festivals and puja-parbans (worships). The Dhamail dance is an integral part of wedding ceremonies in the Hindu society, both inside and outside the tea garden. There is no end of dances and music among the other ethnic communities in the tea gardens.

Songs and dramas portray the sufferings, hardships, landlessness and deprivation of the tea communities. Pratik Theatre, a cultural organization based in Deundi Tea Estate in Habiganj is pioneer in this regard. More than 60 artists in this troupe regularly practice culture and drama. In the documentary some parts of their stage play Nij Bhume Parvasi can be seen. This play is about exploitation in gardens. Pratik Theatre also excels in performing patriotic dances, songs and stage plays.

The Manipuri and the Khasi, the closest neighbours to the tea workers, are sometimes seen together on the cultural stage. Just as the war dance of the Khasi and the Mridanga and Raas dance of the Manipuri paint colours on the stage and hugely amuse the audience.

The dances, dramas and yard culture of tea communities are very colourful and diverse. Their cultural performances are appealing not only among themselves, but also to their neighbouring majority Bangalees. Unfortunately, negligence has led to many of their languages and much of their cultural heritages. Their diverse languages and cultures should be protected along with the Bangalee language and culture. The documentary, ‘Life and Culture of Tea Workers’ conveys the message that cultural practice and exchange can strengthen the bridge between the tea communities and the Bangalee majority and state support and attention of the majority can protect their language and culture.

YouTube link: Cha Sramiker Jibon O Sangskriti

চা শ্রমিকের জীবন ও সংস্কৃতি

চা শ্রমিকদের জীবন ও সংস্কৃতি নিয়ে ১৩ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র (বাংলা ও ইংরেজি)

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: ফিলিপ গাইন
সম্পাদনা: তুলসী সাহা
স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ২০২০

চা-শ্রমিক ও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে পাঁচ লাখের মতো চা-জনগোষ্ঠীর মানুষের অধিকাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং তারা বাঙালি নন। চা-বাগানের অভ্যন্তরে লেবার লাইনই তাদের স্থায়ী ঠিকানা। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো এসব মানুষের জাতিগত পরিচয়, ভাষা ও সংস্কৃতি খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ।

তথ্যচিত্রটি চা শ্রমিকদের জীবন ও তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেই আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। তেলেগুভাষী মান্দ্রাজি, অলমিক, রাজভর, তাতী, গোয়ালা, নাইডু, কুর্মি, তেলি ও রেলি জাতিগোষ্টীর অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লাঠিনৃত্য ও ডালনৃত্য। অন্য অনেক জাতিগোষ্ঠীর মধ্যেও লাঠিনৃত্য জনপ্রিয়। চা বাগানে যেকোনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লাঠিনৃত্য থাকাটা স্বাভাবিক। ডালনৃত্য তেলেগু জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে “গেন্তু বাজিনী” নামে পরিচিত। তেলেগু ভাষায় ‘গেন্তু’ মানে লাফানো আর ‘বাজিনী’ মানে কীর্তন। ডালনৃত্যে আমরা সেটাই দেখি।

বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বর্ণিল সাংস্কৃতিক জীবনের দাবিদার শব্দকর জাতিগোষ্ঠী। সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ ও উৎসবে বাদ্যের তালে তালে এরা ধামাইল নৃত্য ও শিব গৌড়ি নৃত্য পরিবেশন করেন। ধামাইল নৃত্য চা বাগানের ভেতরে-বাইরে হিন্দু সমাজের বিয়ের অনুষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চা-বাগানের আরো যেসব জাতিগোষ্ঠী আছে তাদের মধ্যে আরো যে কতো নৃত্যগীতি ও বাজনা রয়েছে তার কোনো শেষ নেই।

চা বাগানের মানুষের দু:খের কথা, কষ্টের কথা, ভূমিহীনতার কথা এবং বঞ্চনার কথা চিত্রায়িত হয় নানা গান ও নাটকে। হবিগঞ্জের দেউন্দি চা-বাগানভিত্তিক প্রতীক থিয়েটার এ ব্যাপারে পথ প্রদর্শক। তথ্যচিত্রে তাদের ‘নিজ ভূমে পরবাসী’ মঞ্চনাটকের কিছু অংশ দেখা যায়। এ নাটকটি চা-বাগানে শোষণের কথা বলে। দেশাত্মবোধক নৃত্যগীতি ও মঞ্চনাটক পরিবেশনায়ও প্রতীক থিয়েটার পারদর্শী।

সাংস্কৃতিক মঞ্চে চা-শ্রমিকের নিকটতম প্রতিবেশী মণিপুরি ও খাসিদেরকে মাঝেমধ্যেই একসাথে দেখা যায়। খাসিদের যুদ্ধের নাচ আর মণিপুরিদের মৃদঙ্গ ও রাসনৃত্য যেমন মঞ্চ রাঙায়, তেমনি রাঙায় দর্শকের মন।

এতো বর্ণিল আর বৈচিত্র্যে ভরা চা জনগোষ্ঠীর নৃত্যগীতি, নাটক-নাটিকা এবং উঠান সংস্কৃতি। শুধু নিজেদের মধ্যেই নয়, প্রতিবেশী সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের মধ্যেও আবেদন সৃষ্টি করে তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় অযত্নে-অবহেলায় তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে। বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির পাশাপাশি এদের নানান ভাষা ও সংস্কৃতির সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়া দরকার। সংস্কৃতি চর্চা ও বিনিময়ই যে চা জনগাষ্ঠী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির মাঝে সেতুবন্ধন সুদৃঢ় করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা আর সংখ্যাগরিষ্ঠের মনোযোগই যে পারে তাদের ভাষা সংস্কৃতির সুরক্ষা দিতে সে বার্তাই দেয় ‘চা শ্রমিকের জীবন ও সংস্কৃতি’ তথ্যচিত্রটি।

YouTube link: চা শ্রমিকের জীবন ও সংস্কৃতি

Pothey Pothey

Pothey Pothey

 Pothey Pothey (English)

32-minute documentary film on the Bede (gypsy) of Bangladesh (Bangla and English)

Screenplay and Direction: Philip Gain
Editing: Ronald Halder
Production and copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD), 2019.

Pothey Pothey (Floating Life) is a 32-minute documentary film that shows the life and struggle of the Bede (gypsy) for migration out of poverty and traditional occupations. The work being done to lift the Bede out of their current appalling condition has also been featured in the film. The Bede, an estimated half million people, used to glide through water canals in the past the year-round; but today there are very few Bede boats seen around the country, mostly because the rivers and canals they used are not navigable any more. The documentary film will hopefully help in exploring strategies and actions to pull them out of poverty and exclusion.

YouTube link: Pothey Pothey 

পথে পথে (বাংলা)

বেদেদের জীবন নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র (৩২ মিনিট, বাংলা ও ইংরেজি)

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: ফিলিপ গাইন
সম্পাদনা: রোনাল্ড হালদার
প্রযোজনা ও স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ২০১৯

পথে পথে ৩২ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র যা বেদেদের জীবন ও প্রথাগত পেশা থেকে বের হওয়া ও দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে উত্তরণের সংগ্রাম কাছ থেকে দেখিয়েছে। এই কাজটির উদ্দেশ্য বেদেদের বর্তমান পরিস্থিতি সামনে আনা। প্রায় পাঁচ লক্ষ বেদে যারা দেশের বিভিন্ন নদীনালায় ঘুরে ঘুরে বেড়াতো, তাদের এখন খুব কমই নৌকার বহর নিয়ে চলতে দেখা যায়। এর মূল কারণ যে সকল নদীনালায় তারা নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতো সেসবে এখন আর আগের মতন নাব্যতা নেই। এই তথ্যচিত্রটি বেদেদের দারিদ্র্য ও বিচ্ছিন্নতা ঘোচাতে নীতি নির্ধারণে ও কৌশল প্রণয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

YouTube link: পথে পথে