‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি’

‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি’

‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি’

দেশের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা নিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় ধনী-দরিদ্র ভেদাভেদ ও বর্ণবিভেদ অনেক কম। দেশে শ্রেণি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে উন্নয়নের ধ্যান-ধারণা গ্রহণ করা সহজ হয়েছে। কিন্তু প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার (বিআরসি) চালু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে উন্নয়নের ধ্যান-ধারণা ঠিকমতো পৌঁছে দেওয়া হয়নি। তাদের জীবন-জীবিকার উপযোগী যে ধ্যান-ধারণাগুলো ঈষৎ পরিবর্তন করে দেওয়ার কথা ছিল, সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে চিন্তা করা হয়নি।

তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের অগ্রগতির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এই অর্থনীতিবিদ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে বিআরসি। দেশের প্রান্তিক ও বাদপড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্র্যাক বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরেমি ওপ্রিটেসকো, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান প্রমুখ। ১১টি বই ও মনোগ্রাফের প্রকাশনা উৎসবের আয়োজনও ছিল এতে। এ ছাড়াও বেদে সম্প্রদায় নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে সেডের পরিচালক ফিলিপ গাইন বলেন, তার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে আদিবাসী জাতিসত্তা, অরণ্যচারী মানুষ, বন বিনাশের নানা বিষয় ও পরিবেশ নিয়ে। পরে তাদের চিন্তা ও কাজের পরিধি বেড়েছে। কাজ শুরু হয় চা শ্রমিক ও যৌনকর্মীদের নিয়েও। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলো থেকে বেদে, হরিজন, ঋষি, কায়পুত্র, জলদাস, বিহারি জনগোষ্ঠীও যুক্ত হয়। তারা সবাই মিলে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। তাদেরই আমরা বলছি ব্রাত্যজন।

ড. লিলি নিকোলস বলেন, কানাডায় পুরো পৃথিবী থেকে অনেক মানুষ এসেছে। সেখানেও বৈষম্য বিদ্যমান। সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানান তিনি।

অধ্যাপক মো. গোলাম রহমান বলেন, ধর্ম, বর্ণ ও পেশার ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ হওয়াটা অস্বাভাবিক।

খুশী কবির বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিজড়াদের যদি তৃতীয় লিঙ্গ বলা হয়, তাহলে প্রথম ও দ্বিতীয় লিঙ্গ কে?

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের রামভজন কৈরী বলেন, চা শ্রমিকরা নিজেদের নাগরিক অধিকারের কথা জানে না। তাঁদের কাছে অধিকার সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছে দিতে হবে।

এ ছাড়াও কথা বলেন বাংলাদেশ সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের প্রধান আলেয়া আক্তার লিলি, বেদে সর্দার সউদ খান, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকারকর্মী জুয়ানলিয়াম আমলাই এবং সিকো খুমি।

সমকাল প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৯ মে ২২ । ০৮:৫১ | আপডেট: ২৯ মে ২২ । ০৮:৫১
News Link: samakal.com

Ensure mainstream inclusion of the marginalised: Experts

Ensure mainstream inclusion of the marginalised: Experts

Ensure mainstream inclusion of the marginalised: Experts

Staff Correspondent | Update: 29 May 2022 00:26:22
 

The Bangladesh government should ensure mainstream inclusion of marginalised communities such as Harijans, Rishi, Kaiputra, Bede and Bihari, which will help Bangladesh sustain its development, and allow a smoother transition to a middle-income country.

Eminent Professor Wahiduddin Mahmud made the remark as the chief guest while addressing an event titled “Launching of Brattyajan Resource Centre (BRC) and Books,” held in the capital’s CIRDAP auditorium on Saturday.

He further said, “In development, the economic contribution of these communities should be highlighted, while preserving their culture, language and ethnic identities. Members of these communities should not be considered marginalised in the near future.”

“The goal of a developed country is that no one can be neglected due to their ethnic and gender identities, and our aim is to become developed in the upcoming days.”

The BRC was launched to build research-based strategies to address exclusion and marginalisation challenges, and the books contain research and resources on these communities.

Nijera Kori Coordinator Khushi Kabir, former chief information commissioner Prof Md Golam Rahman, European Union delegate Deputy Head of Mission Jeremy Opritesco, and high commissioner of Canada to Bangladesh Dr Lilly Nicholls attended the event as special guests.

Khushi Kabir said, “Nowadays, land rights are a major issue, as the most marginalised communities have no land and identity.”

Prof Golam Rahman said, “Information is power and we can change ourselves using information that is reflected in research and enshrined in BRC. We shall not isolate communities, rather make them united and equal.”

Opritesco said, “The EU fights against all discrimination based on ethnic and gender identities, language and culture. We expect strong involvement of all parties.” 

News Link: businesspostbd.com

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য যে ধরনের উন্নয়নের ধ্যান-ধারণা নেওয়া উচিত ছিল, সরকারের পক্ষ থেকে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া হয়নি বলেই তারা এখনো সাধারণ নাগরিকদের চেয়ে পিছিয়ে। এখানে সরকারের ব্যর্থতা আছে বলে অমি মনে করি।’

অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, দেশের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা নিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য যে ধরনের উন্নয়নের ধ্যান-ধারণা নেওয়া উচিত ছিল, সরকারের পক্ষ থেকে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া হয়নি বলেই তারা এখনো সাধারণ নাগরিকদের চেয়ে পিছিয়ে। এখানে সরকারের ব্যর্থতা আছে বলে অমি মনে করি।’

‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে উন্নয়নের ধ্যান-ধারনা ঠিকমতো পৌঁছে দেওয়া হয়নি, শুধু তা-ই নয়, বরং তাদের জীবন-জীবিকার উপযোগী যে ধ্যান-ধারণাগুলো ঈষৎ পরির্তন করে দেওয়ার কথা ছিল, সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে চিন্তাও করা হয়নি। বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিকল্পনা না নিয়ে উল্টো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।’

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অথচ আমরা একদিকে প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষার কথা বলি। বন, নদী, পাহাড়—এগুলো সংরক্ষণের কথা বলি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবন-জীবিকা এগুলোর সঙ্গে অনেকাংশে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধ্যান-ধারণায় এখন থেকে আরও অনেক বেশি পরিবশ সংরক্ষণের বিষয়টি আছে। এবং সেটার সাথে এই জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ওতপ্রোতেভাবে জড়িত।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে এসডিজির লক্ষ্য পূরণের কথা বলছি, সেখানে পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্বপুর্ণ।’

তাই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকজনের—অর্থাৎ চা শ্রমিক, দলিত, হরিজন, ঋষি সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গসহ সবার জীবনমান উন্নয়নের জন্য সঠিকভাবে পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এই অর্থনীতিবিদ।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারের (বিআরসি) অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রান্তিক ও বাদ-পড়া জনগোষ্ঠীসমূহের কল্যাণে নিবেদিত দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠান ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল।

সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রান্তিক ও বাদ-পড়া, হতদরিদ্র, সীমাহীন সমস্যা ও দুর্ভোগে জর্জরিত, অদৃশ্য ও পিছনে পড়ে থাকা জনগোষ্ঠীসমূহ নিয়ে কাজ করছে।

এই দুটি সংগঠনের উদ্যোগে যাত্র শুরু করেছে বিআরসি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সেড-এর পরিচালক ফিলিপ গেইন বলেন, ‘সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৯৩ সালে। আজকে যে রিসোর্স সেন্টারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু, তার কাজ তখন শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ যে প্রান্তিক ও সামাজিক সম্পর্ক থেকে বাদ পড়া মানুষদের জন্য এই ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার, তাদের নিয়ে সেড কাজ শুরু করেছিল সেই ১৯৯৩ সালে। পার্থক্য হলো তখন আমরা কাজ শুরু করেছিলাম আদিবাসী জাতিসত্তাসমূহ, অরণ্যচারী মানুষ, বন বিনাশের নানা বিষয় ও পরিবেশ নিয়ে। পরবর্তীতে আমাদের চিন্তার ও কাজের পরিধি বেড়েছে। আমরা সেড থেকে পরবর্তীতে চা শ্রমিক ও যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করতে থাকি। তবে গত দশ বছরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসমূহ থেকে বেদে, হরিজন, ঋষি, কায়পুত্র, জলদাস, বিহারি জনগোষ্ঠী যুক্ত হয় । এরা সব মিলিয়ে ছয় মিলিয়ন বা ষাট লাখ মানুষ। এদেরকেই আমরা বলছি ব্রাত্যজন।’

ব্র্যাক বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কানাডার হাই কমিশনার ড. লিলি নিকোলস, বাংলাদেশে ইইউ-এর ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অভ মিশন জেরেমি ওপ্রিটেসকো। নিজেরা করি-র সমন্বয়ক খুশি কবির, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান প্রমুখ। সারা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

News Link: tbsnews.net

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে যাত্রা শুরু করল ‘বিআরসি

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে যাত্রা শুরু করল ‘বিআরসি

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে যাত্রা শুরু করল ‘বিআরসি

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রান্তিক ও বাদ-পড়া জনগোষ্ঠীদের কল্যাণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতে যাত্রা শুরু করল ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার (বিআরসি)। শনিবার (২৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারের যাত্রা শুরু অনুষ্ঠান এবং প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা হয়। এতে ১১টি বই ও মনোগ্রাফের প্রকাশনা করা হয়।

সোসাইটি ফর এনভায়নমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান এই আয়োজন করে। তারা সবাই প্রান্তিক ও বাদ-পড়া, হতদরিদ্র, সীমাহীন সমস্যা ও দুর্ভোগে জর্জরিত, অদৃশ্য ও পিছনে পড়ে থাকা জনগোষ্ঠীসমূহ নিয়ে কাজ করছে।

ব্র্যাকের চেয়ারম্যান শিক্ষা ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডীয় হাই কমিশনার ড. লিলি নিকোলস, ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরেমি অপ্রিটেসক, দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ও সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক মো. গোলাম রহমান এবং নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী এবং ওয়ান বিলিয়ন রাইজিংয়ের বাংলাদেশ সমন্বয়কারী খুশী কবীর।

এছাড়াও নিজ সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তুলে ধরেন তথ্যের অভাবে তারা কতটা সমস্যার সম্মুখীন হন। যেকোনো নাগরিক সুবিধা পাওয়ার জন্য এসব তথ্য তাদের কাজে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টারের গবেষক সবাই। শুধু ডক্টরেটধারী হলেই তিনি গবেষক তা নয়, সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যেই সমৃদ্ধ হবে বিআরসি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুশি কবীর বলেন, ‘আদমশুমারিতে যেন সবাই জায়গা পান সেটি নিশ্চিত করতে হবে। লিঙ্গ, যৌন, জাতি, সম্প্রদায়ের পরিচিতি যেন স্পষ্ট হয়। তৃতীয় লিঙ্গ আপত্তিকর, অন্যান্য ঠিক আছে। তৃতীয় লিঙ্গ লিখলে প্রশ্ন আসে প্রথম এবং দ্বিতীয় লিঙ্গ তাহলে কে। এভাবে কারও প্রতি বৈষম্য না রেখে নতুন আদমশুমারিতে সবার তথ্য যেন ঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়।’

ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘তথ্যের যে শক্তি, তা কাজে লাগিয়ে জীবনকে গতিশীল করতে হবে। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ। খেটে খাওয়া মানুষ এই দেশটাকে গড়ে তুলছেন। ঝরে পড়ার মতো অবস্থায় আছেন যারা তাদের সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’

ডেপুটি হেড অব মিশন, ডেলিগেশন অফ দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ জেরেমি ওপ্রিটেস্কো বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন নীতিমালায় কাউকে পিছিয়ে না রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ উন্নয়ন করেছে। সেড এবং পিপিআরসির এই গবেষণাধর্মী প্রকাশনা ও উদ্যোগের ফলাফল বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের সবজায়গায় জাতিগত, ধর্ম, যৌনতাসহ সব ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কাজ হচ্ছে। আমরা তাদের সবার কাজের মূল্যায়ন করি। এবং আমরা এই সহযোগিতা করে যাবো। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণের জন্য আমরা সাহায্য বজায় রাখবো।’

প্রধান অতিথি ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দেরিতে হলেও কিছু কিছু কাজ হয়। প্রকাশিত বইগুলো তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন। যে সমস্ত তথ্য এখানে বাংলাদেশের অন্য যে জরিপ আছে, সরকার ও বিবিএসের পরিসংখ্যানে আপনাদের কীভাবে নেওয়া যায়, তা আরও নজর দেওয়া দরকার। উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য হল সবাই উন্নয়নের অংশীদার হবে। নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ থাকবে। তবে মূলধারায় যুক্ত হতে হবে।’

কানাডিয়ান হাইকমিশনার টু বাংলাদেশ ড. লিলি নিকোলস বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠি তাদের জাতিগত পরিচয়ের জন্য যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা আমার পক্ষে অনুভব করা সম্ভব না। তবে কানাডায়ও সম্প্রতি আদিবাসীদের কবর আবিষ্কৃত হয়েছে। তাই বলা যায় মার্জিনালাইজেশন সবজায়গাতেই হয়। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অবস্থা উন্নয়নে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনাদের এই কাজে আমাদের বন্ধু ভাবার আহ্বান জানাই।’

অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে নিজেদের লেখা গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের সন্তানরা। জাদু প্রদর্শনের মাধ্যমে সবাইকে সম্পৃক্ত করার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

এছাড়াও নিজ রচিত গীতি আলেখ্য পরিবেশন করেন ইভান আহমেদ কথা ও তার দল।

News Link: sarabangla.net

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

Govt lacks proper planning to uplift the marginalised: Wahiduddin

Govt lacks proper planning to uplift the marginalised: Wahiduddin

The Business Standard  31 May 2022

Brattyajan Resource Centre officially starts its journey for the welfare of marginalised people in the country

The government has failed to adopt proper initiatives and ideas for improving the livelihoods of the marginalised populations of the country, said eminent economist Wahiduddin Mahmud.

The disadvantaged and vulnerable quarters are lagging behind the common citizens because of this policy failure, he observed while addressing a programme arranged on the occasion of the official beginning of the journey of the Brattyajan Resource Centre (BRC) at Cirdap auditorium in the capital on Saturday.

 “Besides, the idea of development has not been properly preached to these groups. The government has not done anything to tweak the mindset of these people in order to change their thoughts and notions conducive to their livelihood,” Wahiduddin said.

Many projects have been taken up for the development of the country, but the economic development of the marginalised people has been hindered by a lack of proper planning, he maintained.

The economist went on to say, “We often talk about protecting the environment but the livelihoods of the marginalised people are closely linked to forests, rivers, and hills. We also talk about meeting the sustainable development goals (SDGs) which include protecting the environment and improving the living standards of these people.”

He urged the government to make appropriate plans and implement them for the betterment of the disempowered people of Dalit, Harijan, Rishi and the third-gender communities.

Backed by the Society for the Environment and Human Development (SEHD), and the Power and Participation Research Centre (PPRC), Brattyajan Resource Centre has started its journey for the welfare of marginalised people of Bangladesh.

Presenting the keynote article at the event, Philip Gain, director of SEHD, said, “The SEHD started its journey in 1993, but launched its resource centre today. Over the years, the scope of our thoughts and activities has expanded a lot. We are now working with tea garden workers and sex workers.”

“In the last 10 years, Bede, Harijan, Rishi, Kayputra, Jaldas, and Bihari communities have been added to the marginalised community that includes 60 lakh people. We are calling them ‘Brattyajan’.”

Hossain Zillur Rahman, chairperson of Brac Bangladesh, chaired the event, also attended by Lilly Nicholls, high commissioner of Canada to Bangladesh; Jeremy Opritesco, deputy head of mission, EU delegation to Bangladesh; and others.

A total of 11 research books of the BRC on different marginalised groups of people were unveiled at the event.

Link: tbsnews.net