Phulbari (English)

40-minute documentary film on grassroots revolt against open-pit mining (Bangla and English)

Direction: Ronald Halder and Philip Gain
Editing: Ronald Halder
Screenplay: Philip Gain
Production and copyright: Society for Environment and Human Development (SEHD), 2007

PHULBARI is a 40-minute documentary film on an unprecedent grassroots revolt against open-pit mining in Phulbari in Dinajpur district. The people in the mine area took to the streets of Phulbari town in thousands in the resistance against open-pit mining on 26 August 2006. The law enforcing agencies opened fire on the peaceful rally at some point. At least three were shot dead and more than two hundred were wounded. It was a victory of people’s resistance.

The documentary starts with what happened on 26 August 2006. And then shows the background of the protest, discontent of the villagers who would lose their villages and cropland and opinions of experts. The documentary also shows scenes of open-pit mining in other countries. All summed up, the open-pit mining by Asia Energy, a British Company, would cause serious economic loss for the people in the mine area in particular and environmental disaster. The most significant message of the film is, the people of coal-rich Phulbari, Parbatipur, Birampur and Nawabganj Upazilas in Dinajpur district are dead against the open-pit mining in an area that is prime land for production of rice and other crops.

After the shooting and killing of 26 August the revolt continued up to 30 August, the day the government dramatically accepted all six demands of the anti-mine protesters by signing a memorandum of understanding with the leaders of the movement. The key demands that the government submitted to, obliged it to expel Asia Energy from the country and not to introduce open-cut mining in Phulbari or any other part of Bangladesh. The Memorandum of Understanding brings a solution to the Phulbari crisis for the time being.

YouTube Link of the documentary: PHULBARI

ফুলবাড়ী

উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের উপর ৪০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র

পরিচালনা: রোনাল্ড হালদার ও ফিলিপ গাইন
সম্পাদনা: রোনাল্ড হালদার
চিত্রনাট্য: ফিলিপ গাইন
প্রযোজনা ও স্বত্ব: সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), ২০০৭।

‘ফুলবাড়ী’ দিনাজপুর জেলায় উন্মুক্ত কয়লা খনির বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীতে তৃণমূলের নজীরবিহীন প্রতিরোধ আন্দোলনের উপর ৪০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র। খনি এলাকার হাজার হাজার মানুষ ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট উন্মুক্ত কয়লা খনির বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী শহরের রাস্তায় নামে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক পর্যায়ে শান্তিপূর্ণৃ সমাবেশে গুলি চালায়। অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ এবং দুই শতাধিক আহত হয়। এটা ছিল জনগনের বিজয়।

প্রামাণ্যচিত্রটি ২৬ আগস্ট ২০০৬-এ ফুলবাড়ীতে যা ঘটেছিল তা দিয়ে শুরু। এরপর প্রামাণ্যচিত্রটিতে ফুলবাড়ীবাসীদের প্রতিবাদের পটভূমি, উন্মুক্ত কয়লা খনি হলে যেসব মানুষ তাদের গ্রাম এবং ফসলি জমি হারাবে তাদের অসন্তোষ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরা হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রটিতে অন্যান্য দেশের উন্মুক্ত কয়লা খনির দৃশ্যও দেখানো হয়েছে।

সবদিক বিবেচনা করে যা বলা যায় তা হলো, ব্রিটিশ কোম্পানি এশিয়া এনার্জি উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা খনি করলে স্থানীয় জনগণ ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। প্রামাণ্যচিত্রের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বার্তা হলো, দিনাজপুর জেলার কয়লাসমৃদ্ধ ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা, যেখানে মানুষ ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপন্ন করে, সেখানে তারা উন্মুক্ত কয়লা খনির চরম বিরোধী।

২৬ আগস্ট প্রতিরোধ আন্দোলনে গুলি চলার পর বিদ্রোহ ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর সরকার প্রতিরোধ আন্দোলনরকারীদের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনির বিরোধীদের ছয়টি দাবি নাটকীয়ভাবে মেনে নেয়। সরকারের কাছে পেশ করা মূল দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং ফুলবাড়ীসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত কয়লা খনি করা যাবে না। সমঝোতা স্মারক ফুলবাড়ী সঙ্কটের আপাত সমাধান দেয়।

প্রামাণ্যচিত্রটির ইউটিউব লিংক: ফুলবাড়ী